Connect with us

অনলাইন ইনকাম

প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়
5 (1)

Published

on

ওজন কমানোর উপায়

প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়

প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়:

আপনি কি আপনার ওজন কমাতে চান?  আপনি কি ওজন কমানোর উপায় খুঁজছেন?  তাহলে আমার লেখায় ব্লগ টি আপনার জন্যই। বেশি কোন কিছুই যেমন ভালো না তেমনি শরীরে অতিরিক্ত ওজন অনেক সময় বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।  অনেকে হয়তো শরীরের ওজন কমানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু  ভালো কোন ফলাফল পাননি।  অনেকে আবার ওজন কমানোর জন্য না খেয়ে থাকেন অথবা থাকছেন। 

Advertisement
ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়

 আপনি যেমনটা মনে করছেন যে না খেয়ে থাকলে শরীরের ওজন কমবে, তেমনি না খেয়ে থাকলে আপনার শরীরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে।  এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকারী উপায় হল নিয়মিত ডায়েট মেনে আস্তে আস্তে ওজন কমিয়ে ফেলা।  এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ওজন আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলতে পারেন।  এর জন্য আপনাকে না খেয়ে থাকতে হবে না, শুধু আপনার খাদ্যের তালিকা টা পরিবর্তন করতে হবে এবং নিয়মমাফিক ব্যায়াম করতে হবে।  এর চেয়ে কার্যকারী উপায় আর হতে পারে না।

ওজন কমাতে যা করবেনঃ

ও আমাদের আজকের  এই ব্লগে আপনি জানতে পারবেন আপনার ওজন কতটুকু আছে, কতটুকু কমাতে হবে, খাদ্য তালিকা কি কি রাখতে হবে, কোন ধরনের নিয়ম ফলো করতে হবে,এবং ওজন কমানোর জন্য যত ধরনের টিপস আছে তার অনেকটা শেয়ার করার চেষ্টা করবো।  এর জন্য আপনাকে কিছুটা সময় নিয়ে আমাদের সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়তে হবে। 

কিভাবে আপনার শরীরের বিএমআই (BMI) বের করবেনঃ

বিএমআই  বা Body Mass Index(BMI) হলো আপনার দেহের ওজন এবং দৈর্ঘ্য বা উচ্চতার বর্গের অনুপাত।  বিএমআই এর মাধ্যমে জানা যায় আপনার দেহের ওজন স্বাভাবিক, কম, বেশি ইত্যাদি। এবং এটা নির্ণয়ের পড়ে বলা যেতে পারে আপনি কোন পর্যায়ে আছেন এবং আপনার করণীয় কি কি। 

Advertisement

বিএমআই নির্ণয় সূত্র-  (BMI) = দেহের ওজন (কেজি) / দেহের উচ্চতা (মিটার)২

 এই সূত্র অনুযায়ী আপনি আপনার হিসাবটা আগে করে নেন। বিএমআই-  বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম হতে পারে।  যদি আপনার বিএমআই ১৮.৫ পর্যন্ত হয়  অথবা তার নিচে হয় তাহলে আপনার ওজনহীনতা আছে,  আপনার বিএমআই যদি (১৮-২৪.৯)  পর্যন্ত হয় তাহলে আপনার ওজন স্বাভাবিক আছে,  আপনার বিএমআই যদি (২৫-২৯.৯) পর্যন্ত হয় তাহলে আপনার ওজন অতিরিক্ত বলে গণ্য হবে  এবং আপনার ওজন যদি (৩০-৩৪.৯) পর্যন্ত তাহলে আপনার ওজন প্রতি অতিরিক্ত বলে বিবেচনা করা হয়।

Advertisement

 এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে নিচের টেবিলটি ফলো করতে পারেন-

বিএমআইঃশ্রেণীঃ
১৮.৫ওজনহীনতা
১৮.৫ – ২৪.৯স্বাভাবিক ওজন 
২৫ – ২৯.৯অতিরিক্ত ওজন
৩০ – ৩৪.৯অতি অতিরিক্ত ওজন

 বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে,  স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতার সাথে ওজনের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।  আপনাদের যাদের ওজন বেশি মানে অতিরিক্ত ওজনের ভুগতেছেন তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে যা কিনা আবার মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।  সেইসাথে যদি আবার কারন থাকে তাহলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে কম বলে বিবেচনা করা হয়।  এই সব সমস্যার সমাধান এর জন্য আগে আপনার ওজন মাপতে হবে বিএমআই এর মাধ্যমে।  আমাদের অস্বাভাবিক সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য  করে।  তাই বলা যায় ওজন কমানোর উপায়  জানতে প্রথম ধাপে বিএমআই চেক করে নেবেন। 

Advertisement
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়

 মদ্যপান মানসিক চাপ অতিরিক্ত ঘুম ও নানান ধরনের অজন বারানোর ঔষধ খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বাড়তে পারে। অনেকের এই বাড়তি ওজন  কি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এই বাড়তি ওজনের জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।  তাছাড়া রক্তনালীতে চর্বি জমার কারণে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।  ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার কারণে ডায়াবেটিসের দেখা দেয়।  সবচেয়ে বড় কথা হলো ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫ শতাংশ বেড়ে যায়।  এইগুলা থেকে বাঁচতে আগে থেকেই বিএমআই চেক করে  নেওয়া অনেক ভালো।  এবং কিছুদিন পরপর বিএমআই চেক করা আপনার সতর্কতা মূলক কাজ। 

অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কারণঃ

আমাদের আগে থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য ওজন কমানোর উপায় বার করার চেয়ে ওজন  কেন বাড়ে সেই বিষয়টা জানা জরুরী।   এই কারণগুলি যদি আপনি আগেই জানতে পারেন তাহলে আপনি অতিরিক্ত ওজন বাড়ার মহা বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। অথবা, যাদের ওজন এখনো বাড়েনি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে তাদেরকে সতর্ক করতে পারেন।  আর কারণ জানাটা হচ্ছে ওজন কমানোর সবচেয়ে বড় উপায়।  বিভিন্ন কারণে যেমন-  অতিরিক্ত খাবার খাওয়া, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়া, ব্যায়াম না করা ইত্যাদি কারণে এই সমস্যাটি দেখা দেয়।  আগে থেকেই ওজন কমানোর উপায় বা কারণগুলো জেনে নেই-

চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া

আমরা প্রায় সকলেই চর্বিজাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করি।  জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের বিভিন্ন ক্ষতি করে।  চর্বিজাতীয় খাবার আমাদের শরীরের স্থূলতা বৃদ্ধি করে। যার জন্য আমাদের শরীরের ওজন অনেকাংশে বেড়ে যায়।   বিশেষ করে  আমরা বাহির থেকে যে ধরনের ফাস্টফুড খেয়ে থাকি সে খাবার গুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি থাকে।  অনেকে আছে এরকম বাজার থেকে সস্তা তেল কিনে নে রান্নার কাজে ব্যবহার করি।  আর সেই তেলের রান্না খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের চর্বি অতিরিক্ত বেড়ে যায়।

Advertisement

অলসতা বা ব্যায়াম না করা

আমাদের মধ্যে যাদের ওজন বেশি  তাদের আসলে অলসতা আছে।  তাদের যতটুকু পরিশ্রম করা দরকার তারা সেটুকু করে না।  তাদের সারাদিন শুধু ঘুমিয়ে আর খাবার খেয়ে।  যার জন্য এই অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হয়েছে।  তার চেয়েও বড় কথা হলো  আমাদের সবারই শারীরিক ব্যায়াম দেহের জন্য খুবই জরুরী যা কিনা আবার আমরা করিনা।  এই শারীরিক ব্যায়াম না করার কারণে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায়।

অতিরিক্ত খাবার খাওয়া

আমাদের মধ্যে অনেকেরই খাবার খাওয়া একটা  প্রেসার মত হয়ে গেছে।  বিশেষ করে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পায়।  আবার অনেকে দেখা যায় টিভি দেখার সময় যেকোনো ধরনের খাবার খেতে থাকে।  আসলে টিভি দেখার সময় আমাদের মনোযোগ খাবারের দিকে থাকে না। তখন আমরা শুধু খাবারের  সাদটুকু অনুভব করতে পারি যার জন্য মনোযোগ অন্যদিকে থাকার কারণে আমরা যতটুকু খাবার খাওয়া দরকার তার চেয়ে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি।  যা কিনা আমাদের বিপদ  হয়ে দাঁড়ায়।

Advertisement

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া 

যারা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাই তাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।  কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার আমরা সবাই খাই তবে যারা বেশি খায় তাদেরই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।  যেমন  ভাত,  আমাদের মধ্যে যারা প্রচুর পরিমাণে ভাত খায় তাদের ওজন বেড়ে যায়, আপনারা এই বিষয়টা ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখতে পারেন।  তাছাড়া অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।  যেমন;  আলু, দুধ, রুটি,সফট ড্রিংকস এবং এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি।

বংশগত কারণ 

এতক্ষণে হয়তো অনেকে বলতে পারেন যে নিয়ম মেনে চলার পরেও দেখেছি  অনেকেরই ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে। হ্যাঁ,  এরকম হওয়ার কারণ হল বংশগত দ্বারা।  আপনার পরিবারের কেউ অথবা বংশের  কারোর যদি ওজন বৃদ্ধির এই রোগটি থেকে থাকে তাহলে আপনারও এরকম হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।  কারন- আমরা সবাই জানি যে আমরা কিছু কিছু জিনিস বংশগতভাবে পেয়ে থাকি।

Advertisement

বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে

রোগ জীবাণুর মধ্যে  অনেক রোগ আছে যেগুলা আমাদের ওজন বৃদ্ধি কারণ হয়ে দাঁড়ায়।  যেমন-  ইনসুলিন, পলিস্টিক ডিম্বাশয়,  ডায়াবেটিস,  কুশিং সিনড্রোম,  হাইপোথাইরয়েডিজম ইত্যাদি রোগের ফলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।  এছাড়াও আরো অনেক ধরনের রোগ আছে যেগুলা আমাদের শরীরের ওজন বাড়াতে পারে।  তাই এসব বিষয়ে আগে থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে বেশি উত্তম।

বিভিন্ন ধরনের ঔষধ

ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়

আমরা আমাদের ট্রিটমেন্টের জন্য অসংখ্য প্রকার ওষুধ খেয়ে থাকি।  এই ওষুধগুলো রাবার আলাদা আলাদা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকে।  যার মধ্যে অনেক ঔষধ আছে যেগুলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।  আমরা অনেকেই আছি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ প্রতিদিন নিয়মিত  আমাদের ট্রিটমেন্টের জন্য ব্যবহার করি।  ওষুধগুলো চর্বি থাকার কারণে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। 

অতিরিক্ত ওজনের ক্ষতিকর প্রভাবঃ

ওজন বৃদ্ধির কারণ এতক্ষণে আপনারা জানতে পেরেছেন।  অতিরিক্ত ওজনের কারণে আমাদের শরীরের শুধু সৌন্দর্য নষ্ট হয় না আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে।  অতিরিক্ত ওজনের কারণে আমাদের নানান প্রকার সমস্যা হয়ে থাকে তার মধ্যে রোগ-জীবাণুর পরিমাণ বেশি থাকে।  এখন আমরা  বেশি ওজন বাড়ার কারণে  বড় ধরনের কয়েকটি রোগের ব্যাখ্যা দেব-

Advertisement

হার্ট অ্যাটাক

ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়

আমরা জানতে পেরেছি যে অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কারণে আমাদের দেহে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়।  এগুলো আবার হার্টের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে থাকে।  আমাদের  হৃদপিন্ডে সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক সিস্টেম আছে তা মাধ্যমে আমাদের হৃদপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন করে থাকে।   যেসব ছিদ্র দিয়ে রক্ত আমাদের  হৃদপিন্ডেহ প্রবেশ করে  এবং বাইরে বের হয়  সেই ছিদ্রপথে চর্বি জমে যায়।  চর্বি  ছিদ্রপদগুলোতে আস্তে আস্তে জমতে জমতে রক্তনালীগুলোকে বন্ধ করে  দেয়।  রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে আমাদের হার্টবিট কাজ করা বন্ধ করে দেয় আর এই সময়টাকে আমরা হার্ডএটাক বলে থাকি।  হার্ট অ্যাটাকের কারণ শরীরের ওজন বারা সেটা আমরা উপরেই জেনে এসেছি। তাই আমাদের করণীয় ওজন বৃদ্ধি কমাতে সকল উপায় মেনে চলা।


স্টোক

Advertisement

শরীরে অতিরিক্ত ওজন থাকার কারণে আপনার দুশ্চিন্তা থাকতে পারে যা কিনা আপনার মস্তিষ্কের মধ্যে প্রভাব ফেলে।  অতিরিক্ত ওজন থাকার কারণে আপনার মস্তিষ্কে প্রভাব পড়বে। স্বাভাবিক অবস্থায় মস্তিষ্কের প্রভাব পড়ার কারণে  মানুষ স্ট্রোক করে।  আর এই স্ট্রোকে হিসেবে সাধারণত  অতিরিক্ত ওজন ই যথেষ্ট।

উচ্চ রক্তচাপ

Advertisement

একটু আগে আপনি জেনে এসেছেন অতিরিক্ত ওজনের কারণে আপনার শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয় না বরং বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে থাকে।  তার মধ্যে একটি বিশেষ রোগ উচ্চ রক্তচাপ।  উচ্চ রক্তচাপ হলে আপনার বমি বমি ভাব, হার্ড ব্যাথা, হার্ড এটাক, মাথা ধরা, মাথা ব্যাথা এরকম  লক্ষণ দেখা দেবে।

 এগুলো ছাড়াও আপনি আরো বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

Advertisement

চলাফেরায় সমস্যাঃ

আপনাদের মধ্যে যাদের ওজন বেশি তারা হয়তো এই সমস্যাটায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন।  আসলে মোটা শরীর নিয়ে চলাফেরা করা অনেকটা কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে।  একজন সুস্থ মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত হাঁটাচলা করতে পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনোভাবেই একজন মোটা মানুষের হাঁটার সম্ভব নয়।  তাছাড়া যেকোন প্রকার কাজ একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ স্বাভাবিকভাবে করতে পারবে।  কিন্তু  ওজন বেশি ওয়ালা মানুষের পক্ষে খুবই মুশকিল হয়ে পড়বে।  যার জন্য ওজন বেশি ওয়ালা মানুষের হাঁপানির সৃষ্টি হয় হাটা চলা করতে গেলে।  তাই ওজন কমানোর উপায় গুলো নিয়মমাফিক মেনে চললে এরকম হাজারো সমস্যা থেকে  উপায় পাওয়া যাবে।

 শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সমস্যাঃ

একজন অতিরিক্ত ওজন বিশিষ্ট মানুষের রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে।  এই স্লিপ অ্যাপনিয়া একটি বড় ধরনের রোগ।  এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত রাতের বেলায় ঘুমের সময় শ্বাস কষ্ট বুকে।  আর সেই শ্বাসকষ্ট থেকে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। 

Advertisement

ডায়াবেটিসের সমস্যাঃ

ওজন বৃদ্ধির ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এখনকার সময়ে।  যার ফলে আপনার বারবার পানির পিপাসা পাবে এবং বারবার মূত্র ত্যাগ করতে হবে।  এছাড়া শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পড়বে,  সকল প্রকার খাবার অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বে।  ডায়াবেটিসের কারণে আপনার হার্ড ও চোখ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে।  তাই এসব বিষয়ের সমাধান পেতে ওজন কমানোর উপায়  হিসেবে এগুলো আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে।

মানসিক সমস্যাঃ

ওজন বৃদ্ধির কারণে শুধু শারীরিক সমস্যায় হয়না পর অংশ মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে  হয়।  এ প্রভাব আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলবে।  যার ফলে আপনার ডিপ্রেশন ও উদ্বেগ ইত্যাদির মত আরো নানান মানসিক চাপ সৃষ্টি হবে।  এর কারণে আপনার  স্টক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।  তাই উপায় জানার আগে ফলাফলটা অত্যন্ত জরুরী।

Advertisement

ওজন কমানোর উপায়ঃ

আমরা অনেক কিছু জেনেছি,  আসলে কোন কিছুই ভালো না সেটা আমরা সবাই জানি তেমনি দেহের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক এবং বিপদজনক।  তারাই বেশি ওজন মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।  এবার চলুন আমরা এই বিপদ থেকে বাঁচার উপায় কি কি আছে জেনে নেই-

প্রচুর পরিমাণে পানি পান  করা ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায় এর সবচেয়ে কার্যকর ও সহজ উপায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।  প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সহজে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।  

Advertisement
ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়

এছাড়া বেশি পরিমাণে পানি পান করার কারণে শরীর থেকে সকল প্রকার বর্জ্য বের হয়ে যায় এবং চর্বি জমতে পারে না।  যে চর্বির কারণে আমাদের শরীরে ওজন বৃদ্ধি পায় সেই চর্বি আস্তে আস্তে পানির সাথে চলে যায়।  তাই প্রচুর পরিমাণে পানি আমাদের  এই  মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর উপায় হিসাবে আমরা ব্যবহার করতে পারি।

সঠিক সময়ে খাবার  ওজন কমানোর উপায়

সঠিক খাবার হওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া একজন বেশি ওজন বিশিষ্ট মানুষের প্রয়োজন।  সব সময় চেষ্টা করবেন রাত আটটার পরে খাবার না খেতে।  রাত আটটার আগে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ হালকা-পাতলা কাজ করে নেবেন।   যা কিনা আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং একটি একটি বিশেষ প্রাকৃতিক উপায়।

নিয়মিত হাঁটাচলা করে উপায়

ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর জন্য হাঁটাচলার বিকল্প অপরিসীম।  এই উপায়ে আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে 30 থেকে 45 মিনিট হাঁটাচলা  করলে আপনার দেহের  160 ক্যালোরি পর্যন্ত খরচ হতে পারে।  চেষ্টা করবেন আস্তে আস্তে যতদ্রুত সম্ভব  হাঁটতে থাকার।  যত বেশি দ্রুত হাঁটবেন তত বেশি আপনার জন্য ভালো।  একাধারে এত সময় যদি আপনার কাছে  বিরক্তিকর মনে হয় তাহলে আপনি কানে হেডফোন লাগিয়ে আপনার পছন্দের জিনিসগুলো শুনতে শুনতে হাঁটতে পারেন। মনে রাখবেন আপনার জন্য হাঁটা অনেকটা জরুরী উপায়।

সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে যারা প্রতিদিন সিঁড়ি দিয়ে 5 থেকে 10 মিনিট ওঠানামা করে  তারা অন্যদের তুলনায় দ্রুত  ওজন কমাতে সক্ষম হয়;  সিঁড়িতে উঠা নামা করার ফলে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ হতে পারে যা কিনা আপনার ওজন  কমানোর উপায় হিসেবে বিবেচিত।

প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া

Advertisement
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর জন্য সবসময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত থাকবে।  অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আপনি ওজন কমাতে পারবেন না।  যদি আপনি আপনার শরীরের পরিবর্তন দেখতে চান তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় এমন সব খাবার রাখতে হবে যেগুলোতে অনেক পরিমাণে প্রোটিন আছে।  যেমন- সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন প্রকার ফল, ডিম, দুধ, মাংস, ডাল ইত্যাদি আপনার ওজন কমাতে বিশেষ প্রক্রিয়া। ফলের তালিকা আম এবং খোলা রাখবে না এগুলো কম হলেও আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।  তাই আপনি এই ফল 2 টি ওজন কমার আগ পর্যন্ত বর্জন করতে পারেন।  তবে বেশি পরিমাণে  ভাত খাবেন না আপনারা আগেও জেনে এসেছেন ভাত না হওয়ার কারণ কি।  ভাতে যেসব উপাদান পাওয়া যায় আলোতেও সকল প্রকার উপাদান পাওয়া যায়।  তাই ভাতের সাথে আলো বেশি পরিমাণে খাবেন না।  প্রতিদিন একটির  বেশি ডিম না খাওয়াই সবচেয়ে উত্তম।  তাছাড়া গরুর মাংস ছাগল ছাগলের মাংস বেশি পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।  এগুলোর চেয়ে মুরগির মাংস ও ডাল বেশি পরিমাণে খেতে পারেন। এই উপায় আপনার উপরোক্ত বিপদ দূর করতে  বিশেষভাবে সাহায্য করবে।

চিনি থেকে দূরে থাকুন

চিনি এমন এক ধরনের  উপাদান দিয়ে তৈরি যা কিনা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।  আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বেশি মিষ্টি পছন্দ করে।  সচরাচর যেসব মিষ্টি বানানো হয় অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরি করা হয় সবগুলাতেই চিনির ব্যবহার অপরিসীম।  তাছাড়া চা খাওয়ার সময় অনেকেই আছে বেশি পরিমাণে চিনি ব্যবহার করে চা কে করে খায়।  আপনারা হয়তো জানেন এই মিষ্টি জাতীয় খাবার ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম কারণ।  উপরে আমরা জেনে এসেছি ওজন বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিস হতে পারে।  তাই ওজন কমানোর জন্য একটি বিশেষ উপায় হিসেবে চিনি কে বর্জন করতে হবে।

Advertisement

প্রতিদিন গ্রিন টি পান করুন

গবেষণায় জানা গেছে,  গ্রিন টি পান করার ফলে ওজন হ্রাস পায়।  তাই আপনি প্রতিদিন ৩-৪ কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন।  যার ফলে আপনার শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি হবে এবং আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলবে। আপনি সকালে এককাপ বিকালে এক কাপ এবং শেষ রাতে এক কাপ   খেলে আপনার জন্য দিনটি বিশেষ কার্যকরী  উপায় হবে।

Advertisement

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানপর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম আপনার ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপায়।  তাছাড়া ভবিষ্যতে ওজন কমানোর উপায় হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দরকার।  এক সূত্রে জানা গেছে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমায় তারচেয়ে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমায় না তাদের ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা 55 শতাংশ বেশি থাকে।  এটা বেশিরভাগ শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা দেয়।  তাছাড়া ঘুমালেও হবে না,  কম মানুষের হজম শক্তি কমিয়ে দেয়।

শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে

Advertisement

ওজন কমানোর জন্য শারীরিক ব্যায়ামের তুলনা হয়না।  শারীরিক ব্যায়াম  যেমন-  জগিং, হাঁটাচলা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা এবং সাইকেল চালানো ইত্যাদি করতে পারেন।   শারীরিক ব্যায়াম শরীরের ক্যালরি কে পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এই ব্যায়াম করার ফলে আপনি যেভাবে মানসিকভাবে প্রশান্তি ভাবেন তেমনি ব্যাপকহারে ওজন কমতে থাকবে।

শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে আপনি জটিল জটিল রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।  শারীরিক ব্যায়াম আপনার হার্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে এবং হার্টকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করবে।  সাথে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলবে। শরীরে জমে থাকা  ফ্যাট   ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।

Advertisement

শেষ কথাঃ

অতিরিক্ত ওজন যেমন আমাদের জন্য বড় ধরনের সমস্যা তেমনি এর সমাধানও আমাদের চারপাশেই আছে।  আপনি চাইলে সহজেই উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনার অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন।  এর জন্য আপনার ধৈর্য এবং ইচ্ছাশক্তি দরকার।

ওজন কমানোর জন্য ফার্মেসিতে বা বিজ্ঞাপনে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ দেখতে পারবেন।  এগুলো দেখে আবার উত্তেজিত হয়ে যাবে না উৎসাহিত হয়ে যাবে না। কারণ,   এই ঔষধ গুলো আপনার জন্য ক্ষতিকর  প্রভাব ফেলবে ওজন কমাবে তো দূরের কথা। উল্টো  ই ধরনের ঔষধ খাওয়ার ফলে আপনার বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে।  তাই আগে থেকেই সতর্ক হয়ে  উপায় গুলো মেনে চললে আপনার জন্য অধিক কার্যকর ফলাফল দিতে সক্ষম হবে এই উপায়গুলো।  আপনারা বিশেষভাবে ওজন কমানোর উপায় গুলো ফলো করতে পারেন। 

Advertisement
Click to rate this post!
[Total: 1 Average: 5]
Continue Reading
Advertisement
1 Comment

1 Comment

  1. Pingback: ঘি খাওয়ার নিয়ম শরীরের জন্য ঘি এর উপকা‌রিতা অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম -

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement