Connect with us

টেকনোলজি

ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম
0 (0)

Published

on

নতুন ইমেইল

নতুন ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম

নতুন ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ। এই ২০২২ সালের সময়ে এসে সকল কিছুই ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। এখনকার সময়ে কারর সাথে যদি কথা বলতে হয়, কোন প্রকার হাতের লেখা বার্তা বা ডাকের মাধ্যমে চিঠি পাঠানোর প্রয়োজন পরেনা। এই ডিজিটালাইজেশন এর সময়ে আমরা আমাদের হাতে থাকা মোবাইলের দ্ধারাই কারর সাথেই তখনই যোগাযোগ করে ফেলতে পারি। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়তে থাকায়, এখন সকলের ডিজিটাল পরিচয়পত্র তৈরি করার প্রয়োজন পড়ছে। কিন্তু, এখনও বহু মানুষের জানানেই সেই ডিজিটাল পরিচয়পত্র বা ই-মেইল আইডি কিভাবে খুলতে হয়। 

Advertisement

ই-মেইল কি?         

ই-মেইল হচ্ছে এক প্রকার ডিজিটাল বার্তা বা ইলেক্ট্রনিক বার্তা। যেই বার্তা শুধু বাংলাদেশেই না বিশ্বের যেকোনো দেশের মানুষের কাছে পাঠানো যাবে নিমিষেরই মধ্যে। আপনি যদি বিশ্বের শেষ প্রান্তে যদি বার্তা বা মেসেজ ডকুমেন্ট পাঠাতে চান, তা পাঠাতে পারবেন এক চাপের দ্ধারাই। তা সম্ভব হয়ে থাকে ই-মেইল এর মাধ্যমে। তাই বলাই চলে ই-মেইল একটি যোগাযোগের মাধ্যম। যার ফলে নিমিষেই কারর সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারবেন। ই-মেইল পাঠাতে হয় বার্তা বা লেখার মতো করে, যাকে আমরা মেসেজ হিসেবে জানি। আপনি পরিচিত বা অপরিচিত যে কারর সাথেই অল্প সময়ে মেসেজ বা বার্তা লিখে পাঠাতে পারবেন তারই সাথে ছবি বা ভিডিও বা দরকারি যেকোনো ডকুমেন্ট পাঠাতে পারবেন।    

ই-মেইলের গুরুত্ব? 

ই-মেইল গুরুত্ব রয়েছে বহু। ই-মেইল দ্ধারা যে কাজটি নিমিষেই করার যায় সেই কাজটি ই-মেইল ছাড়া করতে ৩/৫ দিনেরও বেশি লেগে যেতও। যা ই-মেইল এর ব্যবহারের ফলে সহজেই করার সম্ভব হচ্ছে। ই-মেইলের ফলে মানুষের সময় এবং পরিশ্রম কমে গিয়েছে। আগেরকার সময়ে একটি জরুরি তথ্য এর ডকুমেন্ট পাঠাতে ৩ দিনের অধিক সময় লাগতো দেশের মধ্যে। আর তা যদি হয় দেশের বাহিরে বিদেশে তাহলে তো ১ মাসের বেশি সময় লেগে যেতো তথ্যটি হাতে পেতে পেতে। যার ফলে একটি জরুরি কাজ করা আর সম্ভব হতো না। কাজটি আটকে যেতো বা বন্ধ হয়ে যেতো। তারই সমাধান হিসেবে এই ডিজিটাল যুগে চলে এসেছে ই-মেইল বা ইলেক্ট্রিক বার্তা মাধ্যম। 

Advertisement

ই-মেইলের প্রয়োজনীয়তা কি?

ই-মেইলের উল্লেখ অনেক অনেক প্রয়োজনীয়তা আছে। আপনার কাছে যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে বিনামূলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বার্তা পাঠানো যায়। তারই সাথে প্রত্যেক ই-মেইল কোম্পানির ই-মেইল আইডি সাথেই অনেকগুলো সুবিধা দিয়ে থাকে। তারই মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানই হচ্ছে গুগুল। 

ই-মেইলের কিছু উল্লেখ যোগ্য সুবিধা হলো-ঃ 

Advertisement
  • ঘরে বসেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রয়োজনীয় বার্তা বা তথ্য পাঠানো যায়। ফলে সকল কাজ সঠিক সময়ের মধ্যে করা যায়। 
  • কোন প্রকার খরচ ছাড়াই বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যেকোনো তথ্য বা ডকুমেন্ট পাঠানো যায়। যার ফলে অর্থ খরচ হয় না। 
  • সকলেরই বর্তমান সময়ে ই-মেইলে থাকায় ই-মেইলে পাঠাতে বেশি বিলম্বিত হতে হয় না। 
  • গুগুলের ই-মেইলে সুবিধাটির দ্ধারা যে কারর সাথেই ভিডিও কলে কথা বলা যায়- তাদের গুগুল মিট সুবিধার মাধ্যমে, তারই সাথে গুগুলের সকল সেবা গুগুলে মেইল বা জি-মেইল দ্ধারা ব্যবহার করা যায় বিনামূলে। 
  • গুগুলের সহ সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৫ জি বি করে ভার্চুয়াল জায়গা দেয়া হয়। যার ফলে বিভিন্ন তথ্য ১৫ জি বি পর্যন্ত স্টোর করে রাখা যায়। 

ই-মেইলে পরিসেবা কারা দিয়ে থাকে? 

এই পরিসেবাটি অনেক প্রতিষ্ঠানই দিয়ে থাকে, তারই মধ্যে অন্যতম ভালো ই-মেইলে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে গুগুল। তাদের ই-মেইল সেবাদান করা সেবাটির নাম হচ্ছে জি-মেইল। গুগুলের পরেই আছে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠানটির ই-মেইল সেবা প্রদানকারী মাধ্যম Outlook। তারই সাথে অনেক ই-মেইল সেবা প্রদানকারী সংস্থা আছে। যারা বিনা খরচেই ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খোলার সেবা প্রদান করে থাকে। কিন্তু, সব কোম্পানির মধ্যে গুগুলের ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে সেবারমান বেশি বর্তমানে। তাদের ব্যবহারকারী পৃথিবীর সকল জিমেইল ব্যবহারকারীর থেকেও বেশি। 

আরো জানতে পারেন: ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ম, টুইটার একাউন্ট খোলার নিয়ম ,

কেন ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত? 

বর্তমান যুগে কোন ডকুমেন্ট ২ দিনের কম সময় পাঠানো সম্ভব হয়না। সে সকল সুযোগ সুবিধাকে মাথায় রেখে ই-মেইলের প্রয়োজনীয়তা অনেক রয়েছে। ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থাকলে সহজেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বাক্তির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব। যা খুবী জরুরি একটি সেবা। অনেকেরই ই-মেইল আইডি জানা গেলও ফোন নাম্বার পাওয়া যায় না। যার ফলে যোগাযোগ করা খুবী দুরহ হয়ে পরে। তাই ই-মেইল আইডি জেনে গেলে তার সাথে সহজেই নিমিশের মধ্যে যোগাযোগ করা সম্ভব। বিশ্বের সকল ধনী বাক্তি থেকে শুরু করে জনপ্রিয় বাক্তিরাও ই-মেইল আইডি ব্যবহার করে থাকে। তাদের সাথে যেকোনো বিষয়ে যোগাযোগ করার উত্তম মাধ্যম হলো ই-মেইল। 

Advertisement

কিভাবে খোলা যায় জি-মেইল অ্যাকাউন্ট? 

জি-মেইল অ্যাকাউন্ট খোলা কোন কঠিন বিষয় না। ঘরে বসেই খুব সহজেই খোলা যায় জি-মেইল অ্যাকাউন্ট। বলাই বাহুল্য মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে আপনি খুলে ফেলতে পারবেন জি-মেইল অ্যাকাউন্ট। 

প্রথমত, জি-মেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে চলে যেতে হবে Gmail.com এই সাইটটিতে। এখানে যাওয়ার পর Create Account এ ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য চাইবে। যে তথ্যগুলো দেয়ার ফলে আপনাকে সঠিকটি দিতে হবে। 

Advertisement

যেসকল তথ্য জানতে চাওয়া হবে- 

  • আপনার নাম ইংলিশ এ, প্রথমত, আপানর নামের প্রথম অংশ তারপর আপনার নামের শেষ অংশ। 
  • এখন আপনার কাছে একটি ইউজার নাম জানতে চাবে যা প্রত্যেক ইউজার নামের জন্য একবারই হয়ে থাকে, একটি একবারের বেশি দুবার পুনরায় ব্যবহার করা যায়না। ইউজার নামটি অক্ষর এবং সংখ্যা বিপরিতে দেয়া যেতে পারে। 
  • পরবর্তী পর্যায় জানতে চাইবে একটি শক্তিশালী ৮ সংখ্যার একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড যা আপনার অ্যাকাউন্ট এর নিরাপত্তার জন্য। সেটি সংখ্যা, চিহ্ন, সংখ্যার মিলে তৈরি করতে হবে। যতো কঠিন পাসওয়ার্ড তো আপনার অ্যাকাউন্ট এর নিরাপত্তা বেশি। 
  • এখন আপনার কাছে আপনার জেন্ডার জানতে চাওয়া হবে। আপনি কি ছেলে না মেয়ে তা নিশ্চিত করার জন্য। ছেলে হলে (Male) আর মেয়ে হলে (Female) দিতে হবে।
  • তারই সাথে বাকি সকল তথ্য আপনাকে দিতে দিতে হবে। তার মধ্যে একটি রিকোভারি মেইল যা হলো আপনার অ্যাকাউন্ট ঠিক করতে আরেকটি জি-মেইল অ্যাকাউন্ট আপনার অ্যাকাউন্ট এর সাথে যুক্ত রাখার মাধ্যম। 
  • এখন আপনার দেশ যদি জানতে চায় তা নিশ্চিত করতে হবে। 
  • এর পর আপনাকে তাদের সকল নিয়ম মানতে এবং কন্ডিশন মানতে বলা হবে। তা আপনাকে টিক দিতে হবে যার ফলে আপনি রাজি তা গুগুল বুঝে নিবে। 
  • পরবর্তী এই পৃষ্ঠায় আপনার মোবাইল নাম্বারটি জানতে চাইবে। আপনার মোবাইল নাম্বারটি দেয়ার পরে আপনার নাম্বারে একটি কোড পাঠানো হবে, যাচাই করার জন্য সেই কোডটি আপনার মোবাইলে পাঠানো হবে। তা দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। 

তার পরে আপনার আইডিটি খুলে যাবে। যা পরবর্তীতে আপনি gmail.com এ গেলে ড্যাশবোর্ড ঢুকতে পারবেন। সেখান থেকেই গুগুল জি-মেইল এর সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। যারই ফলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বার্তা পাঠানো যাবে। তারই সাথে গুগুলের সকল সুযোগ সুবিধা উপভোগ করা যাবে। 

মোবাইলে ব্যবহারের পদ্ধতি-

মোবাইলে Gmail এর অ্যাপটি প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে নামানো যাবে। যার ফলে মোবাইলেও সহজেই জি-মেইল ব্যবহার করা যাবে। প্লে স্টোর থেকে প্রথমত সেই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। তারপর অ্যাপ ঢুকতে হবে। সেখানে Login অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য সহ পাসওয়ার্ড দিতে হবে। তাহলে চালু হয়ে যাবে জি-মেইল। মোবাইল থেকেও যেকোনো কখানে মেইল বা বার্তা করা যাবে নিমিষেই।

Advertisement
ই-মেইল কি? 

ই-মেইল হচ্ছে এক প্রকার ডিজিটাল বার্তা বা ইলেক্ট্রনিক বার্তা। জানুন ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম

ই-মেইলের গুরুত্ব?

ই-মেইল গুরুত্ব রয়েছে বহু। ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম

Advertisement
ই-মেইলের প্রয়োজনীয়তা কি?

ই-মেইলের উল্লেখ অনেক অনেক প্রয়োজনীয়তা আছে। আপনার কাছে যদি ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে বিনামূলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বার্তা পাঠানো যায়। জানুন ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম

Click to rate this post!
[Total: 0 Average: 0]
Advertisement
Advertisement